টিপতেন অনুব্রতর গা-হাত-পা, মিলল তার বিপুল সম্পত্তির খোঁজ! শুনলে অবাক হবেন!

চাকদহ ২৪×৭ ডিজিটাল ব্যুরো: কয়েকদিন আগেই গরু পাচার কাণ্ডে গ্রেপ্তার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তার আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের সিএ মনিশ কঠোরিরও। এবং অবশেষে গ্রেপ্তার হয়েছেন অনুব্রত কন্যা। দিল্লির রাউস এভিনিউ আদালতে তিনজনের বিরুদ্ধেই চার্জশিট পেশ করেছেন ইডি আধিকারিকেরা। চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে তিনজনেরই। 

Advertisements
You May Like This

তদন্তে উঠে এসেছে গরু পাচার কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত প্রচুর ব্যক্তির নাম। ইডির দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের পরিবারের লোক তো আছেই তার সাথে সহযোগী, সহকর্মী, দেহরক্ষী, বাড়ির পরিচারক, রাধুনী এমনকি কেষ্টর গা-হাত-পা টিপতে আসা বিজয় রাজকের নামেও অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। সেই অ্যাকাউন্ট গুলির মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে লক্ষ লক্ষ্য টাকার। তবে বিজয় রজক আদেও এ বিষয়ে কিছু জানেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে ইডির। ইডির তরফে আরও জানানো হয়েছে, অনুব্রতর বাড়ির পরিচারকের নামে রয়েছে 7.71 কোটি টাকার জমি। বাড়ির রান্নার লোকের ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমেও লেনদেন হয়েছে কোটি কোটি টাকার। 

চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে বিভিন্ন রাইস মিলের। ভোলেব্যোম রাইস মিল, শিবশম্ভু রাইস মিল, এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুড সার্ভিস লিমিটেড প্রভৃতির কথা উল্লেখ রয়েছে। সংস্থাগুলির মাধ্যমে লাভবান হয়েছিলেন অনুব্রত ও তার পরিবার। সংস্থাগুলির ডিরেক্টর পদে থাকার পাশাপাশি ভোলেবোম রাইস মিলের অংশীদারও ছিলেন সুকন্যা। ইডির বক্তব্য, গরু পাচার থেকে হওয়া বড় বড় লাভের সবই জানতেন মনিশ কোঠারি। তিনিই অনুব্রত মণ্ডল-কে বুদ্ধি দিতেন টাকাগুলিকে বিভিন্ন খাতে লগ্নি করবার জন্য। আর সেই মতোই ব্যবহার করা হতো বাড়ির পরিচারক, দলের কর্মী, নিরাপত্তা রক্ষী এমনকি গা-হাত-পা টিপতে আসা ব্যক্তির ব্যাংক একাউন্টও।

Advertisements

Related posts:

Advertisements

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *