১৮ লক্ষ টাকার চাকরি ছেড়ে আখের রস, মুনাফার পাশাপাশি কর্মসংস্থানও জোগাচ্ছেন এই যুবক!

চাকদহ ২৪×৭ ডিজিটাল ব্যুরো: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ডাক দিয়েছিলেন স্বনির্ভর ভারত গড়বার। তার ডাকে সাড়া দিয়েছেন দেশের বহু মানুষ। যার ফলে দেশের নানা প্রান্তে দেখা যাচ্ছে সাফল্য। অনেকে চাকরি ছেড়ে দিয়ে শুরু করেছে নিজের ব্যবসা। প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান যোগান দিচ্ছেন তারাই। বিহারের বেগুসারাই জেলার রতনপুর গ্রামের বাসিন্দা গৌরব কুমার স্থাপন করে ফেলেছেন তেমনি এক দৃষ্টান্ত। গৌরব কুমার জয়পুর ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট থেকে এমবিএ পাস করেছিলেন। তারপর তিনি এক আন্তর্জাতিক কোম্পানিতে চাকরিও পেয়েছিলেন। কিন্তু ৮ বছর চাকরি করবার পর তিনি সেটি ছেড়ে দিয়ে নিজের গ্রামে ফিরে আসেন। এবং শুরু করেন এক নতুন ব্যবসা।

Advertisements
You May Like This

 

 গ্রামের কিছু অল্প বয়সী যুবকদের নিয়ে গড়ে তোলেন দেশীয় ব্যবসা আখের রসের। তবে সাধারণ আখের রসের ব্যবসা নয়। আধুনিক প্যাকেজিং এর মাধ্যমে তিনি তার ব্যবসাকে বিস্তৃতি দিয়েছেন। ‘ওকে ফ্রেস’ নামে দোকান খুলে এক বছরের মধ্যেই সেটিকে বানিয়ে ফেলেছেন একটি ব্র্যান্ড। এ প্রসঙ্গে গৌরব কুমার নিজের বলেছেন, আগে তিনি বার্ষিক ১৮ লাখ টাকার বৃহৎ প্যাকেজে কলকাতা, দিল্লির মতো শহরগুলিতে চাকরি করেছেন। তবে আট বছর টানা থাকতে হয়েছে নিজের বাড়ি ছেড়ে। তাই অবশেষে তিনি ঠিক করে ফেলেন এ চাকরি ছেড়ে বাড়ি গিয়ে তিনি নতুন ব্যবসা শুরু করবেন। গ্রামের কয়েকজন যুবক বন্ধুকে কাজে লাগিয়ে খুলে ফেলেন ওকে ফ্রেশ। বিক্রিও শুরু হয় বিস্তর। নিজের শহরের চুন্নি লাল মেঘা মার্ঠ, কালি স্থান চক সহ মোট তিনটি জায়গায় বিক্রি হচ্ছে ‘ওকে ফ্রেশ’ আখের রস। 

Advertisements

 

তিনি দাবি করেছেন এই গোটা ব্যবসা থেকে তিনি দশ জনের কর্মসংস্থান জোগাতে পেরেছেন। মাসিক 5 লক্ষ টাকার মতো টার্নওভার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আখের রস খেয়ে আকর্ষিত বানানোর জন্য তাতে মেশানো হচ্ছে নানা প্রকার উপাদান। যে কারণে ক্রেতারা ওকে ফ্রেশ থেকে পাণ কুড়িটিরও বেশি স্বাদের আখের রস। গৌরব কুমারের সহযোগী কর্মচারী মুরারী বাবু জানান, চিলি স্পাইস, মিন্ট, ফ্রেশ ফ্রুট, রোজ, লেমন জিঞ্জা এরকম আরো অনেক সাধের আখের রস সুসজ্জিত করে তুলছে তাদের ওকে ফ্রেশ। ইন্টারনেটে বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রস্তুত করা হয়েছে সেই সব সাধের আখের রস গুলি। আখের রসের পাশাপাশি ওকে ফ্রেশ দিচ্ছে জলখাবারও, তবে সেইসব রয়েছে কম্বো প্যাকে। ওকে ফ্রেসেই কর্মরত একজন কর্মচারী রোহিত কুমার বলেছেন তার মাসিক আয় কুড়ি হাজার টাকা। তাই বলাই বাহুল্য ওকে ফ্রেশ স্বনির্ভর ভারত গড়বার এক অন্যতম দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রমাণ করছে নিজেকে।

Related posts:

Advertisements

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *