প্রকাশ্যে অভিশপ্ত জাহাজের মেনু কার্ড, সেদিন কি খেয়েছিলেন টাইটানিকের যাত্রীরা?
চাকদহ ২৪×৭ ডিজিটাল ব্যুরো: অভিশপ্ত জাহাজ টাইটানিকের কথা আজ কারোরই অজানা নয়। যাত্রা শুরুর পর পঞ্চম তিনের মাথায় বিলাসবহুল, এই অভিশপ্ত জাহাজ টাইটানিক ডুবে গিয়েছিল মহাসাগরের অতলে। কেটে গিয়েছে ১১১টি বছর। এতগুলো দিন পরে সম্প্রতি প্রকাশ্যে এলো বিলাসবহুল জাহাজ টাইটানিকের মেনু কার্ড। বিস্তরে জানা গেল কি খেত জাহাজটির প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় শ্রেণীর যাত্রীরা। বিশদে বিবরণ দেওয়া রয়েছে এই মেনু কার্ডে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘দ্য স্টেট এটলাস’ নামের এক সংস্থা তাদের পেজে টাইটানিকের মেনু কার্ডটির ছবি পোস্ট করে। সাথে রয়েছে জাহাজটির খাবার ঘরের বেশ কয়েকটি দৃশ্য। ছবিগুলিতে দেখা যাচ্ছে ফাঁকা খাবার ঘর।
তারই মাঝে কোনো কোনো টেবিলে বসে রয়েছেন অল্প সংখ্যক লোকজন। মেনু কার্ড গুলির মধ্যে কোনোটি জাহাজ ডুবির ঠিক আগের দিনের আবার কোনোটি জাহাজ রওনা হওয়ার পরের দিনের। মেনু কার্ডগুলি ভালো করে দেখলে বোঝা যায় যে, জাহাজের ফার্স্ট ক্লাস বা প্রথম শ্রেণীর জন্য রয়েছে প্রচুর খাবারের আয়োজন। অন্যদিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর খাবারের আয়োজন ক্রমশ কমে গিয়েছে। যেখানে প্রথম শ্রেণীর ব্রেকফাস্টে রয়েছে কুকি, মাছের ফিলে সহযোগে বিভিন্ন পদ বা ডাম্পলিংস, সেখানে তৃতীয় শ্রেণীর ব্রেকফাস্টে দেখা গিয়েছে ওটমিল ও দুধ। প্রথম শ্রেণীর যাত্রীদের জন্য আরও ছিল ব্রিল, কর্নড বিফ, সব্জি, ডাম্পলিংস, গ্রিলড মটন, কাস্টার্ড পুডিং, চিংড়ি, নরওয়েজিয়ান অ্যাঙ্কোভিস ও নানা ধরনের চিজের খাবার। অপরদিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর মেনু কার্ডে ছিল ওটমিল পরিজ এবং দুধ, স্মোকড হেরিংস, জ্যাকেট আলু, হ্যাম এবং ডিম, ব্রেড ও মাখন, মার্মলেড এবং সুইডিশ রুটি।
পোস্ট হওয়ার অতি শীঘ্রই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ছবিগুলি। আজ থেকে ১১১ বছর আগে টাইটানিক ডুবে গেলেও তাকে নিয়ে আজও সমাজে কৌতূহলের শেষ নেই। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই এই পোস্টটি ঘিরে মানুষের কৌতূহলের মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে। পোস্টটির মাধ্যমে সংস্থাটি আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছে সমাজ মাধ্যমে। তা হল টাইটানিকে পরিবেশন করা শেষ খাবারটি কি ছিল বা কারা তা খেয়েছিল? এই বিষয়ে টেট এটলাস লিখেছে, টাইটানিকে শেষ খাবার পরিবেশন করা হয়েছিল ১৫ ই এপ্রিলে। খাবারটির নাম ছিল প্লাম পুডিং, যার আরেক নাম ক্রিসমাস পুডিং। এই খাবার পরিবেশন করা হয়েছিল দ্বিতীয় শ্রেণীর যাত্রীদের। জানা যায় ১৯১২ সালের এই ১৫ এপ্রিলের রাতেই সেই ভয়ংকর ঘটনা ঘটেছিল। এই রাতে আটলান্টিকে তলিয়ে গিয়েছিল যে ২২৪০ জন যাত্রী তাদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল দ্বিতীয় শ্রেণীর। সূত্রে খবর, নিলামে উঠতে চলেছে টাইটানিকের শেষ লাঞ্চের মেনু কার্ডটি। আশা করা হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০হাজার ডলারে বিক্রি হবে এই মেনু কার্ড।